ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ঠিকাদার মারা গেছে, বন্ধ আছে সড়ক উন্নয়নকাজ

চারবছর ধরে দুর্ভোগে ডুলাহাজারার পাঁচ গ্রামের মানুষ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির অধীনে ২০১৮ সালের দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া পুর্বপাড়া হয়ে শান্তিরঘাট দোকান থেকে চিরাপাহাড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু করছিলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওইসময় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কার্পেটিং কাজের জন্য পিচঢালাই কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে।

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদিন সোনা মিয়া বলেছেন, সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করার পর এলাকাবাসির মনে একধরণের আনন্দ উদ্দীপনাও শুরু হয়। কিন্তু কাজের নিয়োজিত ঠিকাদার ওমর আলী হঠাৎ করে মারা যান ওইসময়। এরপর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে সড়কউন্নয়ন কাজ।

ইউপি মেম্বার বলেন, প্রথম ঠিকাদার মারা যাওয়ার পর পুনরায় টেন্ডারে সড়কউন্নয়ন কাজটি পান ঢাকার এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর কিছুটা কাজের অগ্রগতি হলেও মাঝপথে রহস্যজনক কারণে কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান ঢাকার ওই ঠিকাদার। এই অবস্থার কারণে বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন অংশজুড়ে অসংখ্য খানা-খন্দেক ও গর্তের সৃষ্ঠি হয়েছে। এতে দীর্ঘ চারবছরে ধরে চলাচল দুর্ভোগে পড়েছে আমার ওয়ার্ডের অন্তত পাঁচটি গ্রামের ১০ হাজার জনসাধারণ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা চলাচলের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়েছে। এই অবস্থায় সড়কটির উন্নয়নকাজ সমাপ্ত করতে এলাকাবাসির পক্ষথেকে আমি এলজিইডিসহ উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া পুর্বপাড়া হয়ে শান্তিরঘাট দোকান থেকে চিরাপাহাড় পর্যন্ত সড়কটি এলাকার অন্তত পাঁচটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটির উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকায় বর্তমানে উলুবনিয়া, কাটাখালী, শান্তিরঘাট, চিরাপাহাড় ও মালুমঘাট দক্ষিনাংশের জনসাধারণ চরম চলাচল দুর্ভোগে আছে।

সড়কটির দৈন্যদশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলজিইডি চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফরিদুল আলম বলেন, প্রথম ঠিকাদার মারা যাওয়ার পর পুন: টেন্ডারে ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটির উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ পান। ওইসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কিছুটা কাজও করে।

তিনি বলেন, আমাদের পক্ষথেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সড়ক উন্নয়ন কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য অনেকবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়েছে। এখন নতুনভাবে সড়কটির উন্নয়নকাজ সমাপ্ত করতে এলজিইডির পক্ষথেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

পাঠকের মতামত: